বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্প প্রধান একটি দেশ। গার্মেন্টস শিল্প আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি । দেশের বৈদেশিক আয়ের শতকরা ৮০ ভাগই আসে গার্মেন্টস পন্য রপ্তানি থেকে । বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প সারা বিশ্বে একটি শক্তিশালী ভিত গড়ে তুলেছে। পোশাক যেমন বস্র চাহিদা পূরণের পাশাপাশি মানুষকে সভ্য করে তোলে , তেমনি পোশাক শিল্পের সাথে জড়িতদের অন্নের চাহিদা পূরণকেও নিশ্চিত করে । আশির দশকে শুরু হওয়া এ শিল্প এ দেশের অর্থনৈতিক ভিত তৈরিতে কত বেশি অবদান রেখেছে । তা সংক্ষিপ্ত লেখনিতে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। বিজিএমইএ - র হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে এদেশে পাঁচ হাজারেরও অধিক গার্মেন্টস কারখানা ছড়িয়ে- ছিটিয়ে রয়েছে । এবং তার চেয়ে বেশি সংখ্যক অফিস -আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এই শিল্পকে কেন্দ্র করে। যেখানে দেশের বিশাল জন সমুদ্রের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বিদেশিদেরও কর্ম ক্ষেত্রের সুযোগে সৃষ্টি করেছে । জাতীয় রপ্তানিতে অবদান রেখেছে ৮০ % , এ শিল্প যেন শিল্প নয় সৌভাগ্যের স্বর্গদূত । এবং এ স্বর্গদূত শুধু অর্থনীতিতে নয় শিক্ষা ক্ষেত্রেও নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে । ইউরোপের শিল্প বিপ্লব নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী ঘট
নতুন কোন স্টাইল এর কাজ লাইনে আসার পূর্বে উক্ত স্টাইলের সমস্ত কাগজ পত্র বুঝে নিয়ে তার কোয়ালিটি ইন্সপেকশন করা। এবং একটি প্রোডাক্টের গুনগত মান চেক করে নিয়মিত প্রসেসিং রিপোর্টে করা । উৎপাদিত পণ্যের গুনগত মান চেক করার আগে প্রোডাক্ট সম্পর্কে ভালো ভাবে অবগত হওয়া। অল্টার খুঁজে বের করা এবং ঠিক করার জন্য সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজারকে অবগত করা । লাইনে কাজ করতে কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে কোয়ালিটি কন্টোলার / সুপারভাইজারকে জানানো । যদি কোন প্রসেসে অল্টার বেশি হয় তবে সে ব্যাপারে কোয়ালিটি কন্ট্রোলারকে জানানো এবং তার নির্দেশ মোতাবেক কাজ করা। পোশাক Input থেকে শুরু করে প্রতিটি আইটেম সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা করা সুপারভাইজারের কাজ। আর উৎপাদিত পোশাকের গুনগত মান সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করা কোয়ালিটি ইন্সপেক্টরের কাজ । সুতরাং এদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকার কথা নয়। কারণ সুপারভাইজার চাইবে যেনতেন করে তাড়াতাড়ি উৎপাদন করা যায় । আর কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর চাইবে উৎপাদনের গুনগত মান সঠিক রাখার জন্য । এর ফলে দু ' জনের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয় । যদিও তারা একই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর কর্মচারী। কিন্তু কাজের সময় প্রত্যেকের দায়িত্ব
গার্মেন্টস এখন অতি উন্নতমানের শিল্প হিসেবেই স্বীকৃত । কারণ , বাংলাদেশে গার্মেন্টস ব্যবসার মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি বিদেশী মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে । একটি দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড শক্তিশালী করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার ফ্লো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আর সেটার সিংহভাগ পূরণ করছে গার্মেন্টস ব্যবসার মাধ্যমে । এই কারণে গার্মেন্টস শিল্প এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বলেন বিভাগে কাজ করার সুযোগের পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে উপার্জনের নানা ধরনের ক্ষেত্র। যার ফলে শিক্ষিত - অর্ধশিক্ষিত এমনকি একেবারে অশিক্ষিত কর্মীরাও গার্মেন্টসের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে সৎ পথে উপার্জন করতে পারছে । এবং তারা তাদের নিজেদের ও পারিবারিক অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতে পারছেন । আজ একটি বিষয় সকলের কাছেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে , আমাদের দেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা বিদেশে প্রচুর । এর চাহিদা দিন দিন আরও অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে । এবং প্রতিটি পোশাক কারখানাতেই অভিজ্ঞ মার্চেন্ডাইজার দরকার হয়। এ কারণেই মার্চেন্ডাইজিং একটি চাহিদা সম্পন্ন সন্মান জনক পেশা। এ পেশায় রয়েছে আয়ের যথেষ্ট সুযোগ । তাই এ পেশার ব্যপারে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন । তৈরি প
Comments
Post a Comment